হিন্দুত্ব বিরোধী প্রচার বাড়াতে হবে বলল সিপিআইএম ।
হিন্দুত্ব বিরোধী প্রচার বাড়াতে হবে বলল সিপিআইএম ।
হিন্দু ধর্ম সহনশীল । এই সহনশীলতার পরিচয় বাংলাদেশের হিন্দুরা বেশ কয়েক দশক ধরে দিচ্ছে । তসলিমা নাসরিনের লজ্জা কি পড়েছেন ? যদি না পড়েছেন অবশ্যই একবার পরে নেবেন । হিন্দু এবং নাস্তিকদের উপর ইসলামী মৌলবাদীদের অত্যাচারের ঘটনা আপনার গায়ে কাঁটা দেবে ।
ভাবতে অবাক লাগে ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত সেই উপন্যাসের ঘটনা আজও সমানভাবে ঘটে চলেছে বাংলাদেশে । ৩০ % থেকে ৩ % নেমে এসেছে হিন্দুদের সংখ্যা ।
বিজেপি প্রকাশ্যে হিন্দুত্বের প্রচার করে থাকে তাই তাকে হিন্দুত্ববাদী দল বলা হয় । কিন্তু আপনি কি খেয়াল করেছেন বিজেপি বাদে প্রায় প্রত্যেকটি দল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইসলাম ধর্মকে তোষণ করে থাকে । আমাদের পিসিমনি তো প্রকাশ্যে বলেছেন যে গরু দুধ দেয় তাঁর লাথি খেতেও রাজি । কংগ্রেসও জন্ম লগ্ন থেকেই মুসলিম তোষণ করে এসেছে ।
যেসকল বুদ্ধিবিছিরা রাস্তায় রাস্তায় ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি আওড়ান তারাও আসলে ঘুরিয়ে মুসলিম তোষণই করে থাকে । আসলে সব দলই তোষণ করে । সেই বলে না সব পাখিতেই মাছ খায় , মাছ রাঙ্গার নাম হয় । এই প্রবাদ বাক্যটা বিজেপির জন্য চরমতম সত্য ।
হঠাৎ আজ এসব কথা কেন ? ২১ শের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএম শূন্যতে এসে ঠেকেছে । ভোট পর্যালোচনার যে রিপোর্ট সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই স্পষ্ট ভাষায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামীদিনে দলকে হিন্দুত্ব বিরোধী প্রচার করতে হবে । আবারো বলছি সেখানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামীদিনে দলকে হিন্দুত্ব বিরোধী প্রচার করতে হবে ।
না এতে আপনার রাগের কিছু নেই । আপনার বিরোধিতা করাও ঠিক হবে না । কারন আপনি তোঁ সহনশীল । ছোট থেকে এটাই শিখে এসেছেন । আপনার বাড়ির শিশুদেরও সেটাই এখনও শিখিয়ে আসছেন । হিন্দুদের সহনশীল হতে হয় । ধর্মনিরপেক্ষ হতে হয় ।
ভাবতে পারছেন । যদি এই কথায় আজ উলটোভাবে কোনও দল লিখত যে দলকে ইসলাম বিরোধী প্রচার করতে হবে । তাহলে দেশে কি হত ? সারা দেশে এতক্ষনে ছিঃ ছিঃ পরে যেত ।
বুদ্ধিবিছিরা এতক্ষনে মোমবাতি নিজের পেছনে গুজে হুক্কা হুয়া শুরু করে দিত ।
তবে বলাই বাহুল্য । এখনও পর্যন্ত কোনও দলের বুকের পাটা এতোঁ বড় হয়নি যে এই কথা লিখে দেখাবে ।
সালাম জানাই সকল ধর্মনিরপেক্ষ সহনশীল হিন্দুদের ।